Birendra Samagra I
₹310.00Price
Sales Tax Included
শান্তিনিকেতন ১৯৯০। পদার্থ বিদ্যার গবেষণার কাজে কোলকাতা ছেড়ে শান্তিনিকেতনে আসতে হয় অনিরুদ্ধ চৌধুরী কে। এই শান্তিনিকেতনে এসে এমন একটি মানুষের সঙ্গে তার আলাপ হয় যে তার জীবনের গতিপথ চিরকালের মত ঘুরিয়ে দিয়েছিলো। বীরেন্দ্র সান্যাল। পেশায় হারপেটোলজিস্ট। অর্থাৎ সরীসৃপদের নিয়ে তার কাজ কারবার। তার চেহারাটি অনিরুদ্ধকে বারবার জয়বাবা ফেলুনাথের গুণময় বাগচির কথা মনে করিয়ে দিত। রীতিমত ব্যায়াম করা চেহারা। মানুষটির অদ্ভুত একটি গুন ছিল। ডিটেকশন এবং ডিডাক্সনের। যেহেতু সে পেশায় হারপেটোলজিস্ট এবং বেশীরভাগ সময়টাই তাকে জঙ্গলে কাজ করে কাটাতে হয়, সেহেতু তার ডিটেকশনের ক্ষমতা যে থাকবে তা স্বাভাবিক। কিন্তু তা সত্তেও অনিরুদ্ধর কেন জানি মনে হত যে বীরেন্দ্র সান্যাল অনেকটা গল্পের গোয়েন্দাদের মতো। বীরেন্দ্রর সাথে আলাপ হওয়ার পর অনিরুদ্ধর সেই ধারণাটা আরও বদ্ধমূল হয়ে যায়। তারপর ঘটে সেই ঘটনাটি যা অনিরুদ্ধর জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছিলো। বীরেন্দ্রর বাল্যবন্ধু দেবমাল্য সরকার, পেশায় আই.পি.এস, একটি অদ্ভুত সমস্যা নিয়ে বীরেন্দ্র কে ফোন করে। রমানাথ সমাদ্দার নামে এক ভদ্রলোক, পেশায় উকিল, কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে একটি চাকরির জন্য আবেদন করেন। কোম্পানিটির নাম ক্যালকাটা লেদার হাউস। কোম্পানিটি রমানাথ সমাদ্দারের সাহায্যে ব্যাঙ্ক লোগ নিয়েছিলো ব্যবসার খাতিরে। কিন্তু রাতারাতি কোম্পানিটি উঠে যায় এবং রমানাথ সমাদ্দার তার বিন্দু বিসর্গও জানতে পারেননি। তখনও সেই লোণের টাকাও শোধ হয়নি। তাই টাকা লোপাটের দায় এসে পরে রমানাথ সমাদ্দারের ওপর। তখন তিনি বাধ্য হয়ে এক বন্ধুর সাহাজ্য নেন যে তাঁকে দেবমাল্য সরকারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সমস্ত ঘটনা শুনে দেবমাল্য সরকার বীরেন্দ্রকে এই ঘটনাটির তদন্ত করতে বলে। এটাই ছিল বীরেন্দ্রর প্রথম কেস এবং সেই ছিল শুরু। বীরেন্দ্র সমগ্র-১ বইটি দুটি গল্প নিয়ে সংকলিত হয়েছে। পার্ক স্ট্রীটে প্যান্ডমোনিয়াম এবং কোলকাতায় কারসাজি।
Author Name
Satanik BasuTerms and Conditions
All items are non returnable and non refundable